শুক্রবার , ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

প্রতিষ্ঠানবিহীন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গ্রামের নাম রশিদপুর 

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন একটি অবহেলিত গ্রামের নাম সলঙ্গার রশিদপুর নয়াপাড়া।সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নে এই গ্রামের অবস্থান।গ্রাম থেকে বের হবার তেমন রাস্তা নেই।সভ্য যুগেও অসভ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা,ধান ক্ষেতের আইল তাদের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা।স্থানীয় স্বহৃদয়বান জমির মালিকরা যাতায়াতের জন্য জমির আইল কোন রকম প্রশস্ত করে দিয়েছেন।অপর দিকে  গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে স্বরস্বতী নদী। নদীর উপর নেই কোন ব্রীজ বা সেতু। গ্রামের ভিতরের একমাত্র রাস্তাটি নেমেছে স্বরস্বতী নদীতে।এ দিক দিয়ে পার হতে বর্ষা মৌসুমে সেই নদীর ঘাটে রশিটানা ডিঙ্গি নৌকাই পারাপারের একমাত্র ভরসা।খরা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো। গ্রামবাসীর উদ্যোগে নৌকা আর সাকোঁর ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।শিশুদের পড়া লেখার জন্য গ্রামে নেই কোন প্রাথমিক বিদ্যালয়। দু’হাজারেরও বেশি মানুষের বসবাস এই গ্রামে। পাশ্ববর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুরত্ব আড়াই কিলোমিটার। গ্রামে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ পড়ুয়াদের সংখ্যাও কম নয়। এসব শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন ধান ক্ষেতের আইল আর  নদীপার হয়েই দূরবর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে লেখাপড়া করতে যেতে হয়।তাই শিক্ষার্থীসহ সবাইকে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।যাতায়াতের নিদারুন কষ্ট নিয়ে  বসবাস করছেন এ গ্রামের মানুষ।
রশিদপুর নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আশরাফ আলী, বেল্লাল ভুইয়া, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল হাই জানান, উপজেলার মধ্যে খুবই অবহেলিত গ্রাম রশিদপুর নয়াপাড়া। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে এই গ্রামে প্রবেশের একটি রাস্তার জন্য তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে অনেকবার আবেদন করেছেন। আবেদন করেছেন পাশের অপ্রশস্ত সরস্বতী নদীর উপর একটি পাকা সেতুর। কিন্তু তাদের এই আবেদন কখনই আমলে নেয়নি কেউ। অবহেলিত গ্রাম রশিদপুরের প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি চায় গ্রামবাসী।গ্রামবাসীর তদবীরে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় পাটধারী পুর্বপাড়া থেকে নয়াপাড়া ময়নাল খন্দকারের বাড়ির পূর্বপাশ পর্যন্ত একটি সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীরা সহ গ্রামের লোকজন নয়াপাড়ার ওয়াজেদ আলীর বাড়ি সংলগ্ন নদীর ঘাটে ঝুঁকি নিয়ে রশি টেনে নৌকায় পারাপার  হয়। ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে তাদের গ্রাম থেকে বের হওয়ার রাস্ত ও পাঁকাকরণ এবং স্বরস্বতী নদীর ওয়াজেদ আলীর বাড়ি সংলগ্ন নদীর ঘাটে একটি ব্রিজ/সেতু নির্মাণসহ গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সরকারের প্রতি জোর আবেদন জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদ ের সাথে কথা হলে তিনি উক্ত গ্রামের লোকজন চলাচলের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান,পাটধারী থেকে রশিদপুর পর্যন্ত রাস্তা নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং নদীতে একটি ব্রীজ নির্মাণের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ করা হবে। উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, নতুন প্রকল্পের নির্দেশনা পেলে বিষয়টা দেখা হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।