শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

একই পদে দুইজন নিয়োগে জটিলতা নিরসনের দাবী ভুক্তভোগী

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

গুরুদাসপুর পৌর শহরের চাঁচকৈড় নাজিম উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সহকারি গ্রন্থাগারিক পদে ২০০৫ সালে নিয়োগ পাওয়া আলেয়া খাতুনকে বহাল রেখেই ১৪ বছর পর ২০১৯ সালে একই পদে তাসলিমা নামের একজনকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নিয়োগের বৈধতা তুলে ধরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযোগ করেন আলেয়া খাতুন। এসময় তার পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আক্ষেপ করে আলেয়া খাতুন বলেন, তিনি সহকারি গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অথচ একই পদে বিধি বহির্ভূতভাবে অন্য একজনকে নিয়োগ দেন তৎকালিন সময়ের আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং তার নিজের মামা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রভাষক জয়নাল আবেদীন। ফলে আলেয়ার নিয়োগ সঠিক হওয়া সত্বেও আটকে যায় তার এমপিও। তখন এ ব্যাপারে কথা বললেও কাজ হয়নি। এর সুবিচার চেয়ে তাসলিমার অবৈধ নিয়োগটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন আলেয়া খাতুন।
এ ব্যাপারে তাসলিমা খাতুনের মুঠোফোনে যোগাযোগ চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
জানা যায়, ১৯৯৫ সালের নিয়োগ বিধি অনুযায়ী সহকারি গ্রন্থাগারিক পদে আলেয়া খাতুনকে নিয়োগ দেয় তৎকালিন পরিচালনা পর্ষদ। ১৪ বছর পর একই পদে ২০১৯ সালের ২৫ অক্টোবর তাসলিমা খাতুন নামের আরেক নারীকে নিয়মভঙ্গ করে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর থেকে একই পদে দুই নারী হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে আসছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষক বলেন, সেসময় আলেয়া খাতুন সহকারি গ্রন্থাগারিক পদে থাকা সত্বেও একই পদে তাসলিমা খাতুনকে নিয়োগ দিয়ে জটিলতার সৃষ্টি করা হয়। তখন থেকে শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম আক্তার বলেন, সরকারি নিয়োগ বিধি মোতাবেক স্কুল অ্যান্ড কলেজে সহকারি গ্রন্থাগারিকের পদ রয়েছে ১টি। ওই পদে দুইজনকে নিয়োগ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তা দুঃখজনক। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

নাজিম উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ২০০৫ সালে সহকারি লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ পান আলেয়া খাতুন। আর অগ্রায়নের ভিত্তিতে নাটোর ডিও কর্তৃক তাসলিমা খাতুনের পদটি সহকারি শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) হিসেবে। তার নিয়োগ হয় ২০১৯ সালে। তাদের পদই আলাদা।

পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন ও তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন বলেন, ২০১৯ সালে বিধি মোতাবেক সহকারি গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান পদ ফাঁকা থাকায় সেখানে তাসলিমা খাতুনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০৫ সালে সহকারি গ্রন্থাগারিক পদে আলেয়া খাতুন নিয়োগ নিয়ে অদ্যাবধি চাকরি করছেন। এ বিষয়ে কখনো অভিযোগ করেননি আলেয়া।

নাজিম উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তার বলেন, একই পদে দুই ব্যক্তির চাকরি করার সুযোগ নেই। তদন্ত করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।